ঢাকা জেলার মানুষের মাথাপিছু আয় বর্তমানে ৫ হাজার ১৬৩ মার্কিন ডলার, যা দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয়ের (২ হাজার ৮২০ ডলার) প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া, দেশের মোট জিডিপির ৪৬ শতাংশই ঢাকাকেন্দ্রিক এবং মোট কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশের উৎস রাজধানী ঢাকা। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ‘ইকোনমিক পজিশন ইনডেক্স’ (ইপিআই) বা অর্থনৈতিক অবস্থান সূচকে এই তথ্য
ঢাকা জেলার মানুষের মাথাপিছু আয় বর্তমানে ৫ হাজার ১৬৩ মার্কিন ডলার, যা দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু আয়ের (২ হাজার ৮২০ ডলার) প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া, দেশের মোট জিডিপির ৪৬ শতাংশই ঢাকাকেন্দ্রিক এবং মোট কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশের উৎস রাজধানী ঢাকা। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ‘ইকোনমিক পজিশন ইনডেক্স’ (ইপিআই) বা অর্থনৈতিক অবস্থান সূচকে এই তথ্য উঠে এসেছে।
শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সূচকের তথ্য তুলে ধরা হয়। ঢাকা চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এ.কে.এম. আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ঢাকার অর্থনৈতিক গুরুত্ব
আসাদুজ্জামান পাটোয়ারী জানান, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বড় একটি অংশ সম্পন্ন হয় ঢাকা জেলায়। দেশের মোট পণ্য রপ্তানির ৪০ শতাংশের বেশি হয় এই জেলা থেকে। এছাড়া দেশের শহুরে জনসংখ্যার ৩২ শতাংশের বাস ঢাকা জেলায়, যা মোট জনসংখ্যার ১১.২ শতাংশ। তিনি উল্লেখ করেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সাড়ে সাতশ’র বেশি কোম্পানির প্রধান কার্যালয় ঢাকা জেলায় অবস্থিত।
যদিও ডিসিসিআই’র এই ইপিআই সূচকের তথ্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পুরোনো তথ্যকে ভিত্তি ধরে অনুমান করা হয়েছে, তবুও এই সূচক ঢাকা জেলার মাথাপিছু আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিত্র তুলে ধরে।
ডিসিসিআই আনছে ত্রৈমাসিক ইপিআই সূচক
দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে ডিসিসিআই এখন থেকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ‘ইকোনমিক পজিশন ইনডেক্স’ (ইপিআই) প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই সূচকে মূলত শিল্প ও সেবাখাতের অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা ও কার্যক্রমের পরিবর্তন চিহ্নিত করা হবে এবং নীতিনির্ধারকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হবে।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মূল্যায়নের প্রচলিত পদ্ধতিতে বার্ষিক বা প্রান্তিক জাতীয় হিসাবের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু দ্রুত পরিবর্তনশীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও ব্যবসায়িক আস্থা মূল্যায়নে রিয়েল-টাইম বা হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণ জরুরি। প্রাথমিকভাবে তৈরি পোশাক, বস্ত্র, পাইকারি ও খুচরা বিক্রয়, আবাসন, পরিবহন ও সংরক্ষণ এবং ব্যাংক খাত—এই ছয়টি উপখাতকে সূচকের হিসাবে রাখা হয়েছে।
অর্থনীতি ভালো করছে
প্রাথমিকভাবে প্রকাশিত ইপিআই তথ্যে দেখা গেছে, গত অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ঢাকা জেলার অর্থনীতি ০.৮০ স্কোর পেয়ে ‘ভালো গতিতে’ এগিয়েছিল। কারণ হিসেবে বলা হয়, জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে অর্থনীতি কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারের তড়িৎ সিদ্ধান্তের কারণে পরের প্রান্তিকে অর্থনীতিতে গতি এসেছিল।
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি আবুল কাসেম খান বৈশ্বিক সূচকের সঙ্গে তুলনা করে ইপিআই প্রকাশ করার পরামর্শ দেন। আরেক সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ এই সূচকটি প্রতি মাসে প্রকাশ করা ও এর পরিধি বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
Channel July 36 








Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *