728 x 90

সৌদি আরবে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত: ‘আধুনিক দাসপ্রথা’ খ্যাত কাফালা ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা

সৌদি আরবে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত: ‘আধুনিক দাসপ্রথা’ খ্যাত কাফালা ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা

  সৌদি আরবে বসবাসকারী অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশাল স্বস্তির খবর নিয়ে এসেছে দেশটির সরকার। বহু দশক ধরে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত বিতর্কিত ‘কাফালা ব্যবস্থা’ (Kafala System) অবশেষে বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। এই সিদ্ধান্ত দেশটিতে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিকের জন্য এক বিশাল স্বস্তির কারণ। কী ছিল কাফালা ব্যবস্থা? ‘কাফালা’ হলো এক ধরনের চুক্তিভিত্তিক পৃষ্ঠপোষকতা ব্যবস্থা। এর

 

সৌদি আরবে বসবাসকারী অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশাল স্বস্তির খবর নিয়ে এসেছে দেশটির সরকার। বহু দশক ধরে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত বিতর্কিত ‘কাফালা ব্যবস্থা’ (Kafala System) অবশেষে বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। এই সিদ্ধান্ত দেশটিতে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিকের জন্য এক বিশাল স্বস্তির কারণ।

কী ছিল কাফালা ব্যবস্থা?

‘কাফালা’ হলো এক ধরনের চুক্তিভিত্তিক পৃষ্ঠপোষকতা ব্যবস্থা। এর অধীনে বিদেশি শ্রমিকদের কাজ ও বসবাসের অনুমতি পুরোপুরি স্থানীয় নিয়োগকর্তা বা স্পনসরের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এই প্রথার কারণে শ্রমিকরা স্পনসরের অনুমতি ছাড়া চাকরি বদলানো বা দেশ ত্যাগ করতে পারতেন না। ফলে নিয়োগকর্তারা আইনি ও প্রশাসনিকভাবে একধরনের একচেটিয়া ক্ষমতা ভোগ করতেন, যা শ্রমিকদের স্বাধীনতাকে কঠোরভাবে সীমিত করত। সমালোচকরা বহু বছর ধরেই এই ব্যবস্থাকে ‘আধুনিক দাসপ্রথা’ বলে অভিহিত করে আসছিলেন।

নতুন ব্যবস্থার সুবিধা

২০২৫ সালে সৌদি সরকার ঘোষণা করে যে কাফালা ব্যবস্থা বাতিল করে এর পরিবর্তে একটি নতুন চুক্তিভিত্তিক শ্রম ব্যবস্থা চালু করা হবে। এই পরিবর্তনের ফলে ১০ লাখেরও বেশি অভিবাসী শ্রমিক উপকৃত হবেন বলে সরকারি হিসেবে জানানো হয়েছে। নতুন পদ্ধতিতে:

  • শ্রমিকরা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই নতুন চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন।
  • তাঁরা ইলেকট্রনিকভাবে নিয়োগকর্তাকে জানিয়ে দেশে ফেরত যাওয়া, পুনরায় আসা বা স্থায়ীভাবে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তার অনুমোদন বাধ্যতামূলক থাকবে না।

সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই পরিবর্তন শ্রমিকদের স্বাধীনতা বৃদ্ধি করবে এবং সৌদি শ্রমবাজারকে আন্তর্জাতিকভাবে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। এই উদ্যোগটি সৌদি আরবের ‘ভিশন ২০৩০’ এবং ‘ন্যাশনাল ট্রান্সফরমেশন প্রোগ্রাম’-এর অংশ।

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে বাহরাইন ২০০৯ সালে প্রথম কাফালা বাতিল করে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০১৫ সালে এই ব্যবস্থা শিথিল করে। তবে কুয়েত, কাতার ও ওমানে এখনও কাফালা চালু রয়েছে।

 

Fahim Ahmed
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos