মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ৪৭তম ‘আসিয়ান’ (ASEAN) সম্মেলনে যোগ দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে একাধিক বাণিজ্যিক আলোচনা করেছেন। এই সম্মেলনের মূল আকর্ষণ ছিল ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর। ট্রাম্প মালয়েশিয়া ত্যাগ করলেও বাণিজ্যিক বিভিন্ন বিষয়ে এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে, যার মধ্যে ‘সেমিকন্ডাক্টর’ ও ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ পণ্যে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ৪৭তম ‘আসিয়ান’ (ASEAN) সম্মেলনে যোগ দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে একাধিক বাণিজ্যিক আলোচনা করেছেন। এই সম্মেলনের মূল আকর্ষণ ছিল ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর। ট্রাম্প মালয়েশিয়া ত্যাগ করলেও বাণিজ্যিক বিভিন্ন বিষয়ে এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে, যার মধ্যে ‘সেমিকন্ডাক্টর’ ও ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ পণ্যে শুল্কনীতির প্রয়োগ অন্যতম।
আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘পারস্পরিক শুল্কনীতি’র আওতায় আসিয়ান সদস্যভূক্ত অনেক দেশের ওপর ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। এই সফরে আসিয়ানের দেশগুলো এই বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী ছিল।
নতুন শুল্কহার নির্ধারণ ও চুক্তি
সম্মেলনের মাঝে আসিয়ান সদস্যদেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার নিয়ে আলোচনা হয়। এই আলোচনা অনুসারে, সিঙ্গাপুরের জন্য ১০ শতাংশ এবং মিয়ানমার ও লাওসের জন্য ৪০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রাম্প মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়ার সঙ্গে পারস্পরিক বাণিজ্য চুক্তি এবং থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের সঙ্গে ভবিষ্যৎ চুক্তির কাঠামো নির্ধারণে একমত হয়েছেন। মালয়েশিয়া তার গুরুত্বপূর্ণ কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক অব্যাহতি পেয়েছে। বিশেষ করে পাম তেল, রাবার ও কোকো পণ্যে শূন্য শুল্কের সুযোগ পেয়েছে দেশটি।
অনিশ্চয়তা সেমিকন্ডাক্টর ও ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে
তবে ‘সেমিকন্ডাক্টর’ ও আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য সংক্রান্ত কঠোর শুল্ক আরোপের বিষয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। এর আগে ট্রাম্প ‘সেমিকন্ডাক্টর’-এর ওপর ১০০ শতাংশ এবং তথাকথিত ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ পণ্যের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলেছিলেন। এখানে ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ বলতে মূলত চীনা পণ্য বোঝানো হয়েছে, যেগুলো বিদ্যমান শুল্ক এড়াতে তৃতীয় দেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে।
বিশ্লেষকদের মতে, এসব চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বেশি সুবিধাজনক হলেও, মালয়েশিয়ার মতো দেশ কিছুটা লাভবান হয়েছে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছেন যে এসব চুক্তির আইনি বৈধতা ও বাস্তবায়ন এখনো প্রশ্নের মুখে। এগুলো প্রচলিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নয়, বরং রাজনৈতিক চাপের মাধ্যমে কার্যকর হওয়া সমঝোতা।
তবে জানা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসিয়ান সম্মেলনের আলোচনায় ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের মতো বড় অর্থনীতির দেশগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।
Channel July 36 








Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *