ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারে তাঁর নিজ জোটের মিত্রদের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছেন। সরকারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর এই পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু ক্ষমতা হারানোর শঙ্কা দেখছেন। বিশ্লেষকদের ধারণা, পিঠ বাঁচাতে তিনি আগাম নির্বাচনের দিকে নজর দিচ্ছেন। বর্তমানে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে নেতানিয়াহুর কট্টরপন্থী জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। পার্লামেন্টের ১২০টি আসনের মধ্যে জোটের দখলে
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারে তাঁর নিজ জোটের মিত্রদের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছেন। সরকারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর এই পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু ক্ষমতা হারানোর শঙ্কা দেখছেন। বিশ্লেষকদের ধারণা, পিঠ বাঁচাতে তিনি আগাম নির্বাচনের দিকে নজর দিচ্ছেন।
বর্তমানে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে নেতানিয়াহুর কট্টরপন্থী জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। পার্লামেন্টের ১২০টি আসনের মধ্যে জোটের দখলে ঠিক অর্ধেক—৬০টি আসন রয়েছে। ফলে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনা হলে তা থেকে বাঁচার সুযোগ কম। এরই মধ্যে ২০ অক্টোবর থেকে নেসেটে নতুন অধিবেশন শুরু হওয়ায় এটি সরকারের জন্য একটি বড় হুমকিতে পরিণত হয়েছে।
জোটের ভাঙন ও আগাম নির্বাচনের জল্পনা
গাজায় টানা দুই বছর ধরে সামরিক অভিযান ও জাতিগত নিধন চালানোর পর ১০ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় নেতানিয়াহু সরকার। তবে সরকারি জোটের অনেক দল এর বিরোধিতা করে গাজায় হামলা চালিয়ে যাওয়ার দাবি জানায়। যদিও তারা আপাতত জোট ত্যাগ করেনি, তবে সরকারে থাকার জন্য বিভিন্ন দাবি নিয়ে দর-কষাকষি বাড়িয়েছে।
- ইতামান বেন-গভিরের হুমকি: ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামান বেন-গভির জোট থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকি দিয়েছেন।
- জোটসঙ্গীদের সরে যাওয়া: আরেক কট্টরপন্থী দল সেফারডিক শাস পার্টির ১১ জন আইনপ্রণেতা সরকার থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে। এর আগে ইউনাইটেড তোরাহ জুদাইসম নামে আরেকটি জোটও সরকার ও জোট—দুটি থেকেই সরে দাঁড়িয়েছে।
স্বাধীন বিশ্লেষক মাইকেল হরোউইৎজ এএফপিকে বলেন, “গাজায় যুদ্ধবিরতির কারণে সরকারি জোট দুর্বল হয়ে পড়েছে। তিনি (নেতানিয়াহু) বরং আগামী নির্বাচনে জয়লাভের জন্য একটি অবস্থান তৈরির দিকে নজর দিচ্ছেন, তা আগাম নির্বাচনের আয়োজন করে হলেও।”
নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কয়েকজন সাংবাদিকের তথ্য অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ২০২৬ সালের জুন মাসে আগাম নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেন। তবে এর আগপর্যন্ত সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য জোটসঙ্গীদের সঙ্গে তাঁকে নানা কূটনৈতিক কৌশল খাটিয়ে চলতে হবে।
লিকুদ পার্টির সমর্থন
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক মামলা চললেও, আগামী নভেম্বরে তাঁকেই আবার দলের প্রধান নির্বাচিত করতে যাচ্ছে লিকুদ পার্টি। কারণ দলটির হাতে বিকল্প কোনো প্রার্থী নেই। গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের ভেতরে অসন্তোষ থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন জরিপ বলছে—দলটিই এখনো অন্যদের চেয়ে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছে।
Channel July 36 







Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *