728 x 90

গাজায় যুদ্ধবিরতি রক্ষা করতে নেতানিয়াহু সরকারের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের চরম চাপ: ইসরায়েল কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয়ের রাষ্ট্র?

গাজায় যুদ্ধবিরতি রক্ষা করতে নেতানিয়াহু সরকারের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের চরম চাপ: ইসরায়েল কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয়ের রাষ্ট্র?

সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক উচ্চপর্যায়ের মার্কিন কর্মকর্তার ইসরায়েল সফর—যা শুরু হয়েছিল বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের মাধ্যমে এবং পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সফর—তা ইসরায়েলের ওপর ওয়াশিংটনের তীব্র চাপকেই তুলে ধরছে। তাঁদের সবার লক্ষ্য পরিষ্কার: গাজায় দুই বছরের যুদ্ধ শেষে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি যেন ভেঙে না যায়।

সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক উচ্চপর্যায়ের মার্কিন কর্মকর্তার ইসরায়েল সফর—যা শুরু হয়েছিল বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের মাধ্যমে এবং পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সফর—তা ইসরায়েলের ওপর ওয়াশিংটনের তীব্র চাপকেই তুলে ধরছে। তাঁদের সবার লক্ষ্য পরিষ্কার: গাজায় দুই বছরের যুদ্ধ শেষে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি যেন ভেঙে না যায়।

ইসরায়েলে মার্কিন কর্মকর্তাদের ঘন ঘন সফরকে গাজায় পুনরায় হামলার অজুহাত খুঁজতে থাকা চরম ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয়ে ইসরায়েল

সাবেক ইসরায়েলি দূত অ্যালন পিনকাস মনে করেন, “অবশ্যই ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বলয়ে থাকা একটি রাষ্ট্র।” তাঁর মতে, কোটি কোটি ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা, জাতিসংঘের ভেটো সুবিধা এবং সামরিক সুরক্ষার ওপর ইসরায়েলের যে নির্ভরতা তৈরি হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমানে সেই সহায়তাকে চাপপ্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ধরনের সরাসরি চাপ প্রয়োগ খুব বিরল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে তুলনামূলক বেশি বিরোধপূর্ণ পথ অনুসরণ করছেন।

  • যুদ্ধ থামানোর দাবি: টাইম সাময়িকীতে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি নেতানিয়াহুকে গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া থেকে থামিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, “আপনারা জানেন, আমি তাঁকে থামিয়েছি। না হলে তিনি যুদ্ধ চালিয়েই যেতেন।”
  • পশ্চিম তীর ইস্যুতে হুমকি: ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরকে নিজেদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চালিয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সহযোগিতা বন্ধ করে দেবে। ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে এই প্রস্তাবটি প্রাথমিকভাবে অনুমোদন পেলেও, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স এটিকে “অত্যন্ত বোকামি” বলে উল্লেখ করেন।

চ্যাথাম হাউসের ইয়োসি মেকেলবার্গ বলেন, “বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক অবস্থার মধ্যে রাখা হয়েছে।… আসলে তাদের (মার্কিন কর্মকর্তাদের) লক্ষ্য কী, তা একেবারেই স্পষ্ট।”

বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ

সিবিএস নিউজের ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে উইটকফ বলেছেন, সেপ্টেম্বরে কাতারের দোহায় হামাসের আলোচক দলের ওপর ইসরায়েল হামলা চালানোর পর তাঁর এবং কুশনারের মনে হয়েছিল, তাঁরা ইসরায়েলের দিক থেকে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন। কুশনার আরও বলেছেন, তাঁর শ্বশুর ট্রাম্প মনে করেছিলেন যে ইসরায়েলিরা তাদের কর্মকাণ্ডে ‘কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে’।

মার্কিন চাপের কারণে নেতানিয়াহু তাঁর সর্বশেষ ওয়াশিংটন সফরের সময় প্রকাশ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হন এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে দোহায় ইসরায়েলি হামলার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন।

নেতানিয়াহুর ক্ষোভ

নেতানিয়াহু অবশ্য এমন গুঞ্জন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া পূরণ করতে গিয়ে তার স্বাধীনতা হারাচ্ছে। তিনি বলেন, “এক সপ্তাহে তারা বলে, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আবার আরেক সপ্তাহে তারা বলে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এটা একেবারেই বাজে কথা।”

তবে পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, এসব পদক্ষেপ নেতানিয়াহু ও অন্যদের মনে করিয়ে দিচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কতটা অসম।

 

Fahim Ahmed
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos