নামাজ আদায়ের সময় টুপি পরিধান করা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে। ইসলামি ফিকাহ অনুসারে, নামাজের সময় টুপি পরিধান করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত, তবে এটি ফরজ বা ওয়াজিব (অপরিহার্য) নয়। টুপি ছাড়া নামাজের বিধান নামাজ হবে কি না: টুপি ছাড়া নামাজ আদায় করলেও নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে। মাকরুহ: তবে নিছক অলসতার কারণে বা বিনা ওজরে
নামাজ আদায়ের সময় টুপি পরিধান করা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে। ইসলামি ফিকাহ অনুসারে, নামাজের সময় টুপি পরিধান করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত, তবে এটি ফরজ বা ওয়াজিব (অপরিহার্য) নয়।
টুপি ছাড়া নামাজের বিধান
- নামাজ হবে কি না: টুপি ছাড়া নামাজ আদায় করলেও নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
- মাকরুহ: তবে নিছক অলসতার কারণে বা বিনা ওজরে খালি মাথায় নামাজ আদায় করা মাকরুহ (অপছন্দনীয়)।
নামাজ ছাড়া অন্যান্য সময়ের বিধান
নামাজ ছাড়া অন্যান্য সময়ও টুপি পরিধান করা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। বিভিন্ন হাদিস ও বর্ণনায় এর প্রমাণ পাওয়া যায়:
- সাহাবিদের বর্ণনা অনুযায়ী, আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর মাথায় সাদা টুপি পরিধান করার আমল ছিল।
- প্রথম সারির মুহাজিরগণও সুতির পাগড়ি বা টুপি পরিধান করতেন এবং তাদের আমলের ধারাবাহিকতা পরবর্তী সব যুগে মুসলমানদের মধ্যে প্রচলিত ছিল।
নামাজরত অবস্থায় টুপি পড়ে গেলে কী করবেন?
নামাজরত অবস্থায় মাথা থেকে টুপি পড়ে গেলে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে:
১. এক হাতে উঠানো সম্ভব হলে: যদি এক হাত দিয়ে টুপি উঠিয়ে পরে নেওয়া সম্ভব হয়, তবে তা করাই উত্তম। ২. আমলে কাসির হলে: যদি দুই হাত ব্যবহার করা ছাড়া বা অতিরিক্ত নড়াচড়া (আমলে কাসির) ছাড়া টুপি ওঠানো সম্ভব না হয়, তবে টুপি না ওঠানোই উচিত।
আমলে কাসির কী?
ফুকাহায়ে কেরামের পরিভাষায় ‘আমলে কাসির’ বলা হয়, নামাজে এমন নড়াচড়াকে, যার কারণে নামাজরত ব্যক্তিকে দেখে মনে হয় না যে তিনি নামাজ পড়ছেন। নামাজে ‘আমলে কাসির’ করলে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। তাই টুপি ওঠানোর জন্য যেন ‘আমলে কাসির’ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- দাঁড়ানো বা রুকু অবস্থায়: এ অবস্থায় আমলে কাসির না করে টুপি ওঠানো অসম্ভব হওয়ায় বিরত থাকতে হবে।
- সিজদা বা বৈঠকের সময়: এ সময় টুপি পড়ে গেলে এক হাত দিয়ে উঠিয়ে পরে নেওয়া যেতে পারে।
Channel July 36 








Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *