728 x 90

প্রভাবশালী কেনিয়ান নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা আর নেই, ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

প্রভাবশালী কেনিয়ান নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা আর নেই, ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

  কেনিয়ার প্রভাবশালী বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভারতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ভারতের কেরালা রাজ্যের দেবমাথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় পুলিশ আজ বুধবার (দিনটি উল্লেখ করা হয়েছে) তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছে, চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থানকালে ওডিঙ্গা

 

কেনিয়ার প্রভাবশালী বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভারতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ভারতের কেরালা রাজ্যের দেবমাথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় পুলিশ আজ বুধবার (দিনটি উল্লেখ করা হয়েছে) তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছে, চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থানকালে ওডিঙ্গা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

কেরালার এরনাকুলাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণন এম জানান, সকালে হাঁটার সময় ওডিঙ্গা হঠাৎ পড়ে যান। তাঁকে দ্রুত কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওডিঙ্গার সঙ্গে তাঁর বোন, মেয়ে, ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং ভারতীয় ও কেনিয়ান নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন ও উত্তরাধিকার

রাইলা ওডিঙ্গা কেনিয়ার রাজনীতিতে এক রহস্যময় এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ১৯৪৫ সালে দেশের স্বাধীনতা-উত্তর প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে জন্ম নিয়ে তিনি নিজেকে এক ‘বিপ্লবী নেতা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। লুয়ো (Luo) জাতিগোষ্ঠীর এই রাজনীতিক জীবনের বড় একটা সময় রাজনৈতিক আন্দোলন ও কারাবাসে কাটিয়েছেন। ১৯৮২ সালে অভ্যুত্থানচেষ্টার অভিযোগে তাঁকে প্রথমবার গ্রেপ্তার করা হয়।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি পাঁচবার (১৯৯৭, ২০০৭, ২০১৩, ২০১৭ ও ২০২২) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রতিবারই পরাজিত হন। শেষ চারটি নির্বাচনে তিনি কারচুপির অভিযোগ তোলেন। তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকা দুই বড় সংস্কারের নেপথ্যে ছিল—১৯৯১ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালুর আন্দোলন এবং ২০১০ সালের নতুন সংবিধান প্রণয়ন।

তাঁর সমর্থকেরা তাঁকে ভালোবেসে ‘বাবা’ (সোয়াহিলি ভাষায় ‘পিতা’) বলে ডাকতেন। ২০২৭ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর মৃত্যু কেনিয়ার রাজনৈতিক বিরোধী শিবিরে বড় শূন্যতা তৈরি করবে।

শোক প্রকাশ

ওডিঙ্গার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো রাজধানী নাইরোবির কারেন এলাকায় তাঁর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। শত শত সমর্থক তাঁর বাড়িতে ভিড় করে এবং অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

কেনিয়ার সাবেক প্রধান বিচারপতি ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডেভিড মারাগা এক্সে লিখেছেন, “ওডিঙ্গা ছিলেন দেশপ্রেমিক, আফ্রিকান ঐক্যের প্রবক্তা, গণতন্ত্রের রক্ষক এবং এমন এক নেতা, যিনি কেনিয়া ও আফ্রিকার গণতন্ত্রে গভীর অবদান রেখেছেন।”

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদও শোক প্রকাশ করে তাঁকে ‘মহান নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

Fahim Ahmed
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos