মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নাফিসা কামালের প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ মোট আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। সিআইডি সূত্র জানায়, নাফিসা কামাল ও তাঁর জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনাল
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য নাফিসা কামালের প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালসহ মোট আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
সিআইডি সূত্র জানায়, নাফিসা কামাল ও তাঁর জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনাল এবং কতিপয় সহযোগী সিন্ডিকেট সদস্য সংঘবদ্ধভাবে সরকার নির্ধারিত ফি-এর বাইরে মোট ৩৩ কোটি ৪৪ লাখ ৬৩ হাজার ৬১০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ:
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন: ১. নাফিসা কামাল ও তার প্রতিষ্ঠান অরবিটালস ইন্টারন্যাশনাল। ২. হাফিযুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, স্বত্বাধিকারী ইরভিং এন্টারপ্রাইজ। ৩. রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, স্বত্বাধিকারী আমান এন্টারপ্রাইজ। ৪. জসিম উদ্দিন আহমেদ, স্বত্বাধিকারী আহাদ ইন্টারন্যাশনাল লি.। ৫. মো. আকতার হোসাইন, স্বত্বাধিকারী আক্তার রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি। ৬. শিউলী বেগম, স্বত্বাধিকারী মালয়েশিয়া বাংলাদেশ হোল্ডিংস (প্রা.) লি.। ৭. কাউসার মৃধা, স্বত্বাধিকারী মৃধা ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন। ৮. মোহাম্মদ বশির, স্বত্বাধিকারী রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতারণার কৌশল
অনুসন্ধানে জানা যায়, অভিযুক্তরা প্রতারণার মাধ্যমে ২০২২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ৩১১১ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছেন। সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ফি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার বিপরীতে তারা অবৈধভাবে জনপ্রতি প্রায় দেড় লাখ টাকা করে আদায় করেন। এছাড়া সরকারিভাবে পাসপোর্ট খরচ, কোভিড-১৯ পরীক্ষা বাবদ, মেডিকেল ফি ও পোশাক সংক্রান্ত ফি-এর বাইরে প্রতি কর্মীর কাছ থেকে আরও ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত গ্রহণ করার তথ্য পাওয়া গেছে।
সব মিলিয়ে অভিযুক্তরা সরকার নির্ধারিত ফি-এর বাইরে জনপ্রতি অতিরিক্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৫১০ টাকা আদায় করেছেন বলে সিআইডি নিশ্চিত হয়েছে।
জসীম উদ্দিন খান জানান, বর্তমানে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট পরিচালনা করছে। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান করা হচ্ছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করার জন্য সিআইডির নিবিড় তদন্ত ও সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Channel July 36 








Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *