728 x 90

৭৪ বছরের বৃদ্ধের সাথে ২৪ বছরের তরুণীর বিয়ে, দেনমোহর ২ কোটি ২১ লাখ টাকা; বিতর্ক ও পুলিশি তদন্ত

৭৪ বছরের বৃদ্ধের সাথে ২৪ বছরের তরুণীর বিয়ে, দেনমোহর ২ কোটি ২১ লাখ টাকা; বিতর্ক ও পুলিশি তদন্ত

  ইন্দোনেশিয়ায় ৭৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের সঙ্গে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীর বিয়ে নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ওই ব্যক্তি তাঁর বয়সের চেয়ে ৫০ বছরের ছোট যুবতী শেলা আরিকাকে বিয়ে করেছেন এবং এই বিয়েতে প্রায় তিন বিলিয়ন রুপিয়াহ (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দুই কোটি ২১ লাখ টাকা) দেনমোহর দিয়েছেন। পূর্ব জাভার

 

ইন্দোনেশিয়ায় ৭৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের সঙ্গে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীর বিয়ে নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ওই ব্যক্তি তাঁর বয়সের চেয়ে ৫০ বছরের ছোট যুবতী শেলা আরিকাকে বিয়ে করেছেন এবং এই বিয়েতে প্রায় তিন বিলিয়ন রুপিয়াহ (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দুই কোটি ২১ লাখ টাকা) দেনমোহর দিয়েছেন।

পূর্ব জাভার পাসিতান রিজেন্সিতে গত ১লা অক্টোবর এই জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে বর তরমান প্রকাশ্যে তাঁর নববধূ শেলা আরিকাকে তিন বিলিয়ন রুপিয়াহ দেনমোহর দেন। যদিও ভিডিওগ্রাফি দলকে প্রথমে জানানো হয়েছিল, দেনমোহর হবে এক বিলিয়ন রুপিয়াহ। আরও অদ্ভুত ঘটনা হলো, অতিথিদের উপহার হিসেবে ১ লাখ রুপিয়াহ নগদ দেওয়া হয়েছিল।

বিতর্কের পর নবদম্পতির উধাও

এই বিশাল দেনমোহর এবং বয়সের ব্যবধান নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, তখনই বিতর্কের সৃষ্টি হয় অন্য একটি ঘটনায়। বিয়ের পরপরই আলোকচিত্রী সংস্থা অভিযোগ করেছে যে, নবদম্পতি তাদের ফটোগ্রাফি সেবার পারিশ্রমিক না দিয়েই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

অনলাইনে জল্পনা শুরু হয় যে, তরমান নাকি কনের পরিবারের মোটরসাইকেলে চড়ে পালিয়েছেন। অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন, তিন বিলিয়ন রুপিয়াহর চেকটি আসল ছিল কি না। কনের এক আত্মীয় লাইভস্ট্রিমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পরিবার এবং প্রতিবেশীরা আগেই সাবধান করেছিল। কিন্তু সে শোনেনি, এখন এই ঝামেলায় জড়িয়ে গেছে।”

তরমানের দাবি: চেক বৈধ, আমরা একসঙ্গে আছি

ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখে বর তরমান পরে সামাজিক মাধ্যমে জানান যে, দেনমোহর সম্পূর্ণ বৈধ এবং তা ইন্দোনেশিয়ার ব্যাংক সেন্ট্রাল এশিয়া থেকে সমর্থিত। তিনি আরও দাবি করেন, “আমি আমার স্ত্রীকে ছেড়ে যাইনি। আমরা এখনও একসঙ্গে আছি।” কনের পরিবারও জানিয়েছে যে, তাঁরা কোথাও পালিয়ে যাননি, বরং মধুচন্দ্রিমায় গেছেন।

তবে, বিবাহ ফটোগ্রাফি সংস্থার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ এখন তদন্ত শুরু করেছে। জার্নাল অব ফ্যামিলি ইস্যুজ অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইন্দোনেশিয়ায় স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য ক্রমশ কমছে, যা এই বিয়েটিকে আরও অস্বাভাবিক করে তুলেছে।

Fahim Ahmed
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos