728 x 90

মায়ানমারের দুষ্প্রাপ্য খনিজের দিকে নজর আমেরিকার, চিন-এর একচেটিয়া আধিপত্য ভাঙতে তৎপর ওয়াশিংটন

মায়ানমারের দুষ্প্রাপ্য খনিজের দিকে নজর আমেরিকার, চিন-এর একচেটিয়া আধিপত্য ভাঙতে তৎপর ওয়াশিংটন

মায়ানমারের দুষ্প্রাপ্য খনিজ (Rare Earth Metals)-এর বিশাল ভান্ডার এখন আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আধুনিকতম সমরাস্ত্র থেকে শুরু করে স্মার্টফোন, বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিভাইস তৈরিতে অপরিহার্য এই ১৭টি ধাতব পদার্থের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবার সরাসরি মায়ানমারের দিকে মনোযোগ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চিন-এর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এই দুষ্প্রাপ্য খনিজ সরবরাহের

মায়ানমারের দুষ্প্রাপ্য খনিজ (Rare Earth Metals)-এর বিশাল ভান্ডার এখন আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আধুনিকতম সমরাস্ত্র থেকে শুরু করে স্মার্টফোন, বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিভাইস তৈরিতে অপরিহার্য এই ১৭টি ধাতব পদার্থের সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবার সরাসরি মায়ানমারের দিকে মনোযোগ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

চিন-এর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এই দুষ্প্রাপ্য খনিজ সরবরাহের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশই রয়েছে চিনের নিয়ন্ত্রণে। এর মধ্যে চিন তাদের চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশের মতো এই খনিজ আমদানি করে প্রতিবেশী মায়ানমার থেকে। এর ফলে প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা শিল্পে চিন কার্যত একচেটিয়া আধিপত্য ভোগ করছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই খনিজ সরবরাহ বন্ধ করে দিলে বা নিয়ন্ত্রণ করলে চিন মুহূর্তের মধ্যে বহু দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে স্তব্ধ করে দিতে পারে। এই কারণেই পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষত আমেরিকা, এই অতি-গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ উৎসের ওপর চিনের নির্ভরতা কমাতে এবং বিকল্প সরবরাহ চেইন তৈরি করতে মরিয়া।

আমেরিকার কৌশলগত উদ্যোগ

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আমেরিকা মায়ানমারের এই দুষ্প্রাপ্য খনিজ ক্ষেত্রগুলিতে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে কৌশলগত তৎপরতা শুরু করেছে। মূলত চিনের একচেটিয়া বাজার ভেঙে ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব হ্রাস করা এবং নিজেদের প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি শিল্পকে সুরক্ষিত করাই এর প্রধান লক্ষ্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকের মতে, মায়ানমারে এই খনিজের প্রাচুর্য থাকায় এটি এখন ওয়াশিংটনের কৌশলগত লক্ষ্যগুলির মধ্যে অন্যতম। স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার নামে বা পরিবেশগত মানদণ্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমেরিকা এই অঞ্চলে তার প্রভাব বাড়াতে চাইছে। এর মধ্য দিয়ে তারা শুধু চিনের বাণিজ্যিক নিয়ন্ত্রণই ভাঙতে চাইছে না, বরং ভবিষ্যতের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করতে চাইছে।

যদিও এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ঝুঁকি, পরিবেশগত উদ্বেগ এবং চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা একটি চ্যালেঞ্জ, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দুষ্প্রাপ্য খনিজের কৌশলগত গুরুত্বের কারণে আমেরিকা এই ঝুঁকির সম্মুখীন হতেও প্রস্তুত।

Fahim Ahmed
ADMINISTRATOR
PROFILE

Posts Carousel

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked with *

Latest Posts

Top Authors

Most Commented

Featured Videos