আসছে সিয়াম সাধনা, আত্মশুদ্ধি ও দানের মাস। যদিও রমজানের সূচনা নির্ভর করে চাঁদ দেখার ওপর, তবে জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক পূর্বাভাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) রমজান ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিজ ডিপার্টমেন্ট (IACAD)-এর হিজরি-গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০২৬ সালে রমজান শুরু হতে পারে ফেব্রুয়ারি ১৭ থেকে ১৯ তারিখের মধ্যে, যার মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাব্য তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ, ১৮ ফেব্রুয়ারি দেখা যেতে পারে রমজানের চাঁদ।

রমজান ইসলামি চন্দ্রবর্ষের নবম মাস, যে মাসে মুসলমানরা ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা পালন করেন, আত্মসমালোচনা ও ইবাদতে মনোনিবেশ করেন এবং দান-খয়রাতের মাধ্যমে সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।

রমজানের বিশেষ রাত: লাইলাতুল কদর

ইসলামের অন্যতম পবিত্র রাত লাইলাতুল কদর বা শবে কদর রমজানের শেষ দশকের মধ্যে পড়ে। জ্যোতির্বিদদের হিসাবে, ২০২৬ সালে লাইলাতুল কদর পড়তে পারে মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ রাতে। মুসলমানরা এই রাতে বিশেষ দোয়া, নামাজ ও ইবাদতে সময় কাটান।

রমজান ও ঈদের সম্ভাব্য সমাপ্তি

আইএসিএডির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, রমজান শেষ হবে বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০২৬, তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে এটি ২৯ বা ৩০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

রমজান শেষে মুসলমানরা উদযাপন করেন ঈদুল ফিতর। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২৬ তারিখে ঈদুল ফিতর পালিত হতে পারে।

সাধারণত ঈদের ছুটি শাওয়ালের প্রথম তিন দিন পর্যন্ত দেওয়া হয়। রমজান ২৯ বা ৩০ দিন হলে সেই অনুযায়ী ছুটির মেয়াদও পরিবর্তিত হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রতিবছর সরকারিভাবে রমজান ও ঈদের তারিখ ঘোষণা করা হয় চাঁদ দেখার পর, তবে এ বছরের জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক পূর্বাভাস আগেভাগেই তৈরি করেছে উৎসবের আগ্রহ ও প্রস্তুতির আবহ।