শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার খোলা মোটরে ওড়না পেঁচিয়ে মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন নাছিমা বেগম (৩২) নামের এক নারী। সোমবার (১৭ নভেম্বর ২০২৫) সকাল ১০টার দিকে শরীয়তপুর-গোসাইরহাট সড়কের কুতুবপুর এলাকায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাছিমা ডামুড্যা উপজেলার দায়মী চরভয়রা গ্রামের আসাদ হাওলাদারের স্ত্রী। তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার খোলা মোটরে ওড়না পেঁচিয়ে মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন নাছিমা বেগম (৩২) নামের এক নারী। সোমবার (১৭ নভেম্বর ২০২৫) সকাল ১০টার দিকে শরীয়তপুর-গোসাইরহাট সড়কের কুতুবপুর এলাকায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নাছিমা ডামুড্যা উপজেলার দায়মী চরভয়রা গ্রামের আসাদ হাওলাদারের স্ত্রী। তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন এবং আট বছরের ছেলেকে নিয়ে মোহাম্মদপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। এক সপ্তাহের ছুটি কাটিয়ে সোমবার সকালে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা সদর থেকে অটোরিকশায় করে শরীয়তপুর শহরে বাস ধরতে যাচ্ছিলেন নাছিমা। কুতুবপুর এলাকায় পৌঁছাতেই তাঁর গায়ের ওড়নার এক প্রান্ত অটোরিকশার পেছনের চাকার কাছে থাকা খোলা মোটরে জড়িয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে প্রচণ্ড টানে মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে। পথচারীরা ছুটে এসে ডামুড্যা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ ও বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
ডামুড্যা থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।
নাছিমার স্বামী আসাদ হাওলাদার বলেন, “সংসার চালাতে ঢাকায় কষ্ট করতো। ছুটিতে এসেছিল। কখনো ভাবিনি এটাই তার শেষ যাত্রা হবে।”
খোলা মোটর ও চাকার কারণে ওড়না-শাড়ি পেঁচিয়ে এ ধরনের দুর্ঘটনা বাংলাদেশে বারবার ঘটলেও প্রতিরোধের কার্যকর পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
Channel July 36 

















Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *