২১ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে ঢাকাসহ আশপাশের অঞ্চলে আঘাত হানা ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প রাজধানীর গর্বিত মেট্রোরেল নেটওয়ার্কে দৃশ্যমান ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে, যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি রয়েছে যে অবকাঠামো এখনও অটুট। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে নরসিংদীর মাধবদীতে—ঢাকার কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার পূর্বে—উৎপত্তি হওয়া এই কম্পন অন্তত আটজনের প্রাণ নিয়েছে এবং শতাধিককে আহত করেছে, কিন্তু এর প্রভাব
২১ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে ঢাকাসহ আশপাশের অঞ্চলে আঘাত হানা ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প রাজধানীর গর্বিত মেট্রোরেল নেটওয়ার্কে দৃশ্যমান ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে, যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি রয়েছে যে অবকাঠামো এখনও অটুট। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে নরসিংদীর মাধবদীতে—ঢাকার কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার পূর্বে—উৎপত্তি হওয়া এই কম্পন অন্তত আটজনের প্রাণ নিয়েছে এবং শতাধিককে আহত করেছে, কিন্তু এর প্রভাব পড়েছে শহুরে যাতায়াত ব্যবস্থায়ও, যা শুক্রবার বিকেলে জরুরি সরেজমিন যাচাইয়ের কারণ হয়েছে।
সাংবাদিকদের মাঠভূমি তদন্তে কারওয়ান বাজার ও বিজয় সরণি স্টেশনের বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ফাটল নিশ্চিত হয়েছে, যার মধ্যে বিজয় সরণির সাব-স্টেশনের প্রবেশদ্বারের দেয়ালে একটি উল্লেখযোগ্য ফাটল অন্তর্ভুক্ত। পল্লবীতে সাব-স্টেশনের ফ্লোর এবং স্টেশন নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অভ্যন্তরীণ অংশে ফাটল দেখা গেছে, যেখানে কর্মীরা প্রথমে ক্ষতির অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন। মিরপুর-১১-এর সাব-স্টেশন ফ্লোরে, মিরপুর-১০ স্টেশনের কয়েকটি টাইলসে এবং ফার্মগেটের যাত্রী লিফট কোরের অভ্যন্তরীণ দেয়ালে অনুরূপ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই স্থানগুলোর কর্মীরা গোপনীয়তার শর্তে তথ্য নিশ্চিত করেন, যার মধ্যে মিরপুর-১০-এর এক কর্মী একাধিক স্থানে টাইল ফাটলের কথা উল্লেখ করেন, যখন সাক্ষাৎকৃত যাত্রীরা এই প্রকাশিত তথ্যে হতাশা প্রকাশ করেন। “এটা ঠিক নয়—স্টেশনে ফাটল থাকা সত্ত্বেও মেট্রো চালানো দুর্ঘটনার দ্বারপ্রান্ত খুলে দিচ্ছে,” বলেন যাত্রী সাব্বির রহমান, যা জনসাধারণের উদ্বেগকে তীব্র করছে। আরেক যাত্রী সুস্মিতা বলেন, “শুনে খারাপ লাগছে। মেট্রো খুব উপকারী, কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে এমন ক্ষতি হলে আমরা কী করব?”
এই পর্যবেক্ষণ সত্ত্বেও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্মকর্তারা জোর দেন যে কোনো উল্লেখযোগ্য কাঠামোগত ক্ষয় হয়নি, সম্ভাব্য পূর্ব-বিদ্যমান ক্ষয়কে কম্পনের সঙ্গে যুক্ত করে। ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়, এবং একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উর্ধ্বতনদের দিকে ঠেলে দেন। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সরাসরি উত্তর দেন, “ফাটলগুলো আমরা দেখেছি—এগুলো গুরুতর নয়। আরও পরীক্ষা চলছে।” তিনি ট্রায়াল রানের পর কোনো অসুবিধা না পাওয়ায় চালু রাখার সিদ্ধান্তকে যুক্তিযুক্ত করেন, যাতে উত্তরা থেকে বিকেল ৩টায় এবং মতিঝিল থেকে ৩টা ২০ মিনিটে চলাচল শুরু হয়, নিয়মিত সময়সূচি মেনে। ট্র্যাক, স্টেশন এবং বেয়ারিং প্যাডের পূর্ব-কম্প পরিদর্শন কোনো সমস্যা দেখায়নি, বলে ডিএমটিসিএল রিপোর্ট।
কম্পের পর স্টেশনগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হলেও চালু রাখার সিদ্ধান্ত মিশ্র প্রতিক্রিয়া জাগিয়েছে, যা বাংলাদেশের উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে ভূমিকম্প প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে বিতর্ককে উস্কে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে জনসম্পদের কঠোর পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন, এবং এই ঘটনা সামান্য ফাটল থেকে বড় ধসের প্রতিরোধে বিস্তৃত অডিটের দাবিকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
Channel July 36 

















Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *