ভোলাবাসীদের সংযোগের হতাশার এক সাহসী প্রকাশে, বুধবার বিকেলে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা এলাকায় পদ্মা নদী সাঁতরে পার হওয়ার সাহসী চেষ্টায় দুই তরুণ প্রতিবাদকারীকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পাচ্চরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে যখন ভোলার ২০ যুবকের দল—ঢাকামুখী লংমার্চের অষ্টম দিনে—নিরাপত্তা বিধিনিষেধের কারণে সেতুতে হেঁটে ওঠার অনুমতি পাননি।১১ নভেম্বর চরফ্যাশন টাওয়ার থেকে শুরু
ভোলাবাসীদের সংযোগের হতাশার এক সাহসী প্রকাশে, বুধবার বিকেলে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা এলাকায় পদ্মা নদী সাঁতরে পার হওয়ার সাহসী চেষ্টায় দুই তরুণ প্রতিবাদকারীকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পাচ্চরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে যখন ভোলার ২০ যুবকের দল—ঢাকামুখী লংমার্চের অষ্টম দিনে—নিরাপত্তা বিধিনিষেধের কারণে সেতুতে হেঁটে ওঠার অনুমতি পাননি।১১ নভেম্বর চরফ্যাশন টাওয়ার থেকে শুরু হওয়া এই পদযাত্রা টেনটুলিয়া ও কালাবাদর নদীতে দীর্ঘ প্রত্যাশিত সেতু নির্মাণের চাপ সৃষ্টি করতে ঢাকার সেতু ভবনে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এগোচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে ভোলার ১৭ লাখ মানুষ বিপজ্জনক ফেরি যাত্রায় কষ্ট পাচ্ছেন, যা চিকিৎসা জরুরিতে বা দৈনন্দিন যাতায়াতে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ‘গুরুতর অসুস্থ রোগীদেরকেও সময়মতো বরিশাল নিয়ে আসা যায় না সেতুর অভাবে,’ বলেন দলের সমন্বয়কারী মীর মোশাররফ আমি, যিনি মন্ত্রণালয়ে বারবার আবেদনের কথা উল্লেখ করেন—তিন মাস আগে উপদেষ্টারা সেতু, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন এবং পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু নির্বাচনের ছায়ায় কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।অনুমতি অস্বীকারে ক্ষুব্ধ হয়ে নোমান হাওলাদার ও তানজিমসহ ১০ জন পদ্মার ৬ কিলোমিটার প্রস্থ স্রোতের মুখে ঝাঁপ দেন—পথে তিনটি নদী সাঁতরে পার হওয়ার পরও—একটি প্রতীকী পারাপারের জন্য। কিন্তু নদীর প্রবল স্রোত শীঘ্রই তাদের পরাজিত করে; কিছুদূর এগোনোর পর নোমান ও তানজিম ক্লান্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্থানীয়দের দ্বারা উদ্ধার হন একটি চরে পৌঁছানোর আগে। তাদের অবিলম্বে পাচ্চরের হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে অবস্থা স্থিতিশীল কিন্তু গুরুতর বলে জানা গেছে। দল অটল থেকে ঢাকায় পৌঁছানোর প্রতিজ্ঞা পুনরাবৃত্তি করে, আরও ১০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে, এবং বলছে, ‘যদি কোনো সহযোদ্ধা অসুস্থ বা শহীদ হয়, তাহলে দায়ী উপদেষ্টা ও সরকার।’গোসাইরহাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফিন পরিস্থিতির নজরদারি করছিলেন। ‘তারা হেঁটে পার হতে চেয়েছিল কিন্তু অনুমতি দেওয়া হয়নি; কিছু লোক সাঁতরে একটি চড়ে উঠেছে কিন্তু মুন্সিগঞ্জে পৌঁছায়নি এখনও। দেখা যাক তারা কী করে!’ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সেতুতে হাঁটার অনুমতি না দেওয়ার কথা জোর দিয়ে। প্রতিবাদকারীরা সরাসরি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে আবেদন জানান, নির্বাচন তফসিল ঘোষণার আগে কাজ শুরুর জন্য। এই নাটকীয় উত্তেজনা ২০১৩ সাল থেকে প্রস্তাবিত ১৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পকে নতুন করে জাগিয়ে তোলে, যা সম্ভাব্যতা অধ্যয়নের পর বারবার বাতিল হয়েছে, বাংলাদেশের নদীময় দক্ষিণাঞ্চলের ন্যায়সঙ্গত অবকাঠামো নিয়ে বৃহত্তর বিতর্কের মধ্যে।
Channel July 36 

















Leave a Comment
Your email address will not be published. Required fields are marked with *