ইতিহাস রচেছে এলি লিলি অ্যান্ড কোম্পানি । বিশ্বের প্রথম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হিসেবে তাদের বাজারমূল্য ১ ট্রিলিয়ন (১ লাখ কোটি) মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।শুক্রবার কোম্পানির শেয়ার ১.৩% বেড়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ ১,০৫৭.৭০ ডলারে পৌঁছায় – ফলে মোট মার্কেট ক্যাপ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। ২০২৫ সালে শেয়ারদর বেড়েছে ৩৫%-এর বেশি এবং ২০২৩-এর শেষ থেকে প্রায় ৭৫% – একই সময়ে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ বেড়েছে মাত্র ৫০%-এর সামান্য বেশি।এই অভূতপূর্ব উত্থানের পুরো কৃতিত্বই জিএলপি-১ শ্রেণির ওষুধ মাউনজারো (ডায়াবেটিস) ও জেপবাউন্ড (স্থূলতা)। সর্বশেষ ত্রৈমাসিকে দুটি ওষুধ মিলে বিক্রি হয়েছে ১০.৯ বিলিয়িলন ডলার – কোম্পানির মোট আয়ের (১৭.৬ বিলিয়ন) অর্ধেকেরও বেশি।দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী নোভো নরডিস্ককে পেছনে ফেলে এলি লিলি এখন ওজন কমানোর ওষুধের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে। ওয়াল স্ট্রিটের হিসাবে ২০৩০ সাল নাগাদ এই বাজারের আকার ছাড়িয়ে যাবে ১৫০ বিলিয়ন ডলার – যার বেশিরভাগই যাবে এলি লিলি ও নোভোর পকেটে।বিনিয়োগকারীদের নজর এখন কোম্পানির নতুন মুখে খাওয়ার স্থূলতা-বিরোধী ওষুধ অরফোরগ্লিপ্রনে – যা ২০২৬-এর শুরুতেই অনুমোদন পেতে পারে এবং ইনজেকশনের যুগকে চ্যালেঞ্জ করবে।হোয়াইট হাউসের সঙ্গে দাম কমানোর চুক্তি এবং বিশাল উৎপাদন বিনিয়োগ পরিকল্পনা আরও জোর দিয়েছে বুলিশ ধারণাকে। প্রায় ৫০ গুণ ফরোয়ার্ড পিই রেশিও নিয়েও শেয়ারের দাম থামছে না – বাজার যেন বলছে, স্থূলতার ওষুধই আগামী দশকের সবচেয়ে বড় ব্যবসা।