ক্যাপশন তিন বছরের মেয়ে ও সাত মাসের ছেলের গলা কাটা, মায়ের ফাঁসি; পারিবারিক কলহের দাবি তদন্তে।
বিবরণ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খলিশাকান্দি গ্রামে এক সেনাসদস্যের বাসা থেকে তাঁর স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, যা পারিবারিক হত্যা-আত্মহত্যার সন্দেহ জাগিয়েছে এবং স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর ২০২৫) সকাল ৯-১০:৩০-এর দিকে খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের শয়নকক্ষ থেকে লাশগুলো পাওয়া যায়, যেখানে শিশুদের গলা কাটা এবং মায়ের গলায় ফাঁসি লাগানো ছিল।

নিহতরা হলেন সাদিয়া মুস্তারিম (২৮), বগুড়া সদরের ভান্ডার পাইকার গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের কন্যা; তাঁর তিন বছর বয়স্ক মেয়ে সাইফাহ এবং সাত মাসের ছেলে সাইফ। সাদিয়ার স্বামী শাহাদাত হোসেন ময়মনসিংহে সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত এবং ২০ নভেম্বর এক সপ্তাহের ছুটিতে বাড়ি ফিরেছিলেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন এবং ভোরে শব্দ শুনে প্রতিবেশীদের সাহায্যে শাবল দিয়ে শয়নকক্ষের ভিতর থেকে বন্ধ দরজা ভেঙে ঢুকে লাশগুলো দেখেন। বিছানা থেকে রক্তমাখা বটি উদ্ধার হয়েছে এবং শাহাদাত দাবি করেছেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী প্রথমে সন্তানদের হত্যা করে তারপর আত্মহত্যা করেছেন।

শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল এবং বাইরের কারো জড়িত থাকার লক্ষণ নেই। বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশনস) হুসাইন মোহাম্মদ রাইহান জানান, লাশগুলো শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে যাতে মৃত্যুর সঠিক কারণ ও ক্রম নির্ধারণ করা যায়। শাহাদাতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, ময়না রিপোর্টের অপেক্ষায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

ঘটনায় স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়ে জড়ো হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থল নিরাপত্তায় রেখেছে। বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী অঞ্চলে পারিবারিক কলহজনিত অনুরূপ ঘটনা মানসিক স্বাস্থ্য ও পারিবারিক সহিংসতার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, যদিও এটি প্রাথমিকভাবে বিচ্ছিন্ন বলে মনে হচ্ছে। তদন্ত চলছে এবং পুলিশ তথ্য থাকলে জানাতে আহ্বান জানিয়েছে।