বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে চলমান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বার্ষিক সমুদ্র মহড়া ‘এক্সারসাইজ সেফ গার্ড-২০২৫’ আজ রোববার (৩০ নভেম্বর) পাঁচ দিনব্যাপী অবসানের দিকে এগোচ্ছে। এই মহড়ায় নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, করভেট, ওপিভি, মাইন সুইপার, পেট্রোল ক্রাফট, মিসাইল বোটসহ বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ, মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট, হেলিকপ্টার এবং বিশেষায়িত ফোর্স স্কোয়াডস অংশ নিচ্ছে। সমাপনী দিনের অভ্যাসে জাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, শোল্ডার-লঞ্চড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ফায়ারিং, অ্যান্টি-এয়ার র‍্যাপিড ওপেন ফায়ার, রকেট ডেপথ চার্জ, ড্রোন (ইউএভি) অপারেশন, নৌকমান্ডোদের সার্চ অ্যান্ড সিজার অভিযান এবং নৌযুদ্ধের বিভিন্ন কৌশল প্রদর্শিত হচ্ছে। মহড়া পর্যবেক্ষণে সকাল থেকে চট্টগ্রামের বানৌজা খালিদ বিন ওয়ালিদে যোগ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান এবং পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা আহসান। নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম. নাজমুল হাসান উপদেষ্টাদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন নৌ-রণকৌশল প্রত্যক্ষ করছেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর মতে, এই মহড়া নৌসদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, সমুদ্র অঞ্চলে পর্যবেক্ষণ-অনুসন্ধান-উদ্ধার অভিযান, লজিস্টিকস অপারেশন এবং উপকূলীয় সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে সহায়ক। মহড়ার আগে ২৫ নভেম্বর থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যাতে বাণিজ্যিক জাহাজ, ট্রলার, কোস্টার এবং মৎস্যজীবী নির্ধারিত এলাকা এড়িয়ে চলেন। এছাড়া, ২৭ থেকে ৩০ নভেম্বর শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘প্রত্যয়’ অংশ নিয়ে সমুদ্রপথে জলদস্যুতা, মাদক চোরাচালান এবং মানবপাচার প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করেছে। এই মহড়া বাংলাদেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।